বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে শনিবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে ভারতের তামিলনাড়ুর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’।
বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপটি শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর নাম ‘ফেনজল’। এটি সৌদি আরবের দেওয়া নাম। তবে ঘূর্ণিঝড়টির বাংলাদেশে আঘাতের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মদিনা এবং মক্কা, রিয়াদ, শারকিয়া, আসির, নাজরান এবং জিজানের কিছু অংশে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় ১৪টি জেলা প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসেবে ৮৮৭টি সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৪ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ থাকতে পারবে।
আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন মঙ্গলবার লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে। তবে এর লক্ষ্যস্থল বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
গতকাল বুধবার সরকারি সংস্থাটি জানায়, গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপের সঙ্গে যুক্ত মেঘের গঠন এবং প্রসারের কারণে বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
ওমানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী দুই দিনের মধ্যে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
কাতারের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানায়, কাতারের বিভিন্ন জায়গায় শুক্রবার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা আলদায়েনে।
সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির প্রভাবে মক্কা ও আশপাশের অঞ্চলে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা।
আল হাজর পর্বতমালা এবং আশপাশের অঞ্চল জুড়ে ৬ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই বৃষ্টিপাতে ওই সব অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
চিকিৎসকদের মতে, বৃষ্টির দিনে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর হতে পারে। তাই বৃষ্টির দিনে সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে। বিশেষ করে বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিতে হবে ছাতা, রেইনকোট।